দূর্গা পূজা মানে মাদকদ্রব্যের আসর? অপসংস্কৃতি? হেঁয়ালিপূর্ণ ব্রাহ্মণ?

দূর্গা পূজা মানে মাদকদ্রব্যের আসর? অপসংস্কৃতি? হেঁয়ালিপূর্ণ ব্রাহ্মণ?

দূর্গা পূজা মানে মাদকদ্রব্যের আসর? অপসংস্কৃতি? হেঁয়ালিপূর্ণ ব্রাহ্মণ?

 আচ্ছা কেমন হত যদি নামগুলো এইভাবে রাখা হতো থিম সংঘ,মদ সংঘ,ব্যান্ড সংঘ ।আশা করি এই লাইনটুকু দেখে আপনার ভ্রু কুঁচকে গেছে ,এই আবার কি সংগঠন। বর্তমানে পূজার নামে এগুলিই চলছে।লক্ষ লক্ষ টাকা মানুষের কষ্টের টাকা চাঁদা হিসেবে নিয়ে এরা পূজা না করে পূজার নামে রং তামাশা শুরু করেছে। পূজার মন্ডপ গুলোতে গেলে অবাক হতে হয় আসলে কি দূর্গা পূজা চলছে!
ছোটবেলার দূর্গা পূজার স্মৃতিগুলো এখনো চোখের সামনে ভেসে ওঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, দেয়ালিকা লিখন, গরিব মানুষদের বস্ত্র বিতরণ,সন্ধ্যায় ঢাক-ঢোলের আরতী,ব্রাহ্মণের সুন্দর পূজার নিদর্শন ।এই সময় সমস্ত কিছুই বন্ধ রাখা হতো যেমনঃসাউন্ড বক্স,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি ।আর এখন পূজায় বন্ধ রাখা হয় বাকিগুলো চলে।এদের মধ্যে সবচেয়ে যেটি সামাজিক,পারিবারিক এবং একটি গোষ্ঠী একটি দেশকে নিচু করতে পারে মাদকদ্রব্য,মদ পান একটি প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কিভাবে সবার সামনে গ্রহণ করা হয়। শিক্ষা-দীক্ষার বালাই নাই কিন্তু টাকা পয়সার গুনে যদি  কেউ পূজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে থাকে তাহলে এটি হবে,এটিই ঘটবে।যেটা বলতে চাচ্ছিলাম বর্তমান সরকার আপনারা সবাই জানেন জিরো টলারেন্স অর্থাৎ মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ওপেন ফায়ার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।আমি আমার আইনশৃঙ্খলা ভাইদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করবো আপনারা পূজা মন্ডপে অবশ্যই আপনাদের দায়িত্বগুলি গুরুত্ব সহকারে পালন করবেন নয়তবা কখন যে ক্যামেরাবন্দি হয়ে যান এ মাতাল দের সাথে আপনি নিজেই জানবেন না।মাতাল গোষ্ঠীদের প্রশ্ন আসতে পারে আমার টাকায় আমি মদ খাবো মাদক খাব তাতে আপনাদের কি! অবশ্যই আমাদের কি আছে ।আপনারা যখন মাদকদ্রব্য মদ পান করেন ওইখানে আমার পরিবারের ছেলে যায়,মেয়ে যায় আমার মা যায় আমার বাবা যায় আমার বন্ধু বান্ধব যায় আমার পুরো সমাজ যায়। আপনাদের থেকে মাদকদ্রব্য শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য ওরা ঐখানে যায়না।
যারা বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের সাথে আছেন তারা অবশ্যই পুজোর এই জিনিস গুলোর প্রতি গুরুত্ব দিবেন যাতে পূজা চলাকালীন মদ পান মাদকদ্রব্য এসব যেন পূজার মন্ডপে কোনো ভাবে প্রবেশ করতে না পারে।যারা জোর করে মাদকদ্রব্য মদ পান করতে চাই তাহলে বুঝবেন অসুর আর বেশি দূরে নেই অসুর আপনাদের নিজস্ব সংগঠন এর মধ্যেই আছে। অসুররা যদি দূর্গা পূজা করে তাহলে সে পূজা কি পূজা থাকবে নাকি অন্য কিছু হবে সেটা তো আমরা ইতিহাস থেকে জানি।আর একটা কথা আমি থিম,ব্যান্ড প্রোগ্রাম এগুলোর বিরুদ্ধে নয়।থিম পূজার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং ব্যান্ড বিনোদনের জন্য এক ধরনের আনন্দ মূলক কাজ করে।কিন্তু এই গুলো পুজোর সময় বন্ধ রেখে পূজার পরে চালানো যায় এতে পূজা ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়।
ছোট একটি কথা বলে শেষ করতে চাই ইদানিং আমাদের সর্টকাট ব্রাহ্মণ সৃষ্টি হয়েছে।আমরা পাঠ্য পুস্তক ধর্মীয় গ্রন্থে আমরা দেখি বা দেখতে পায় দুর্গাপূজার দশমী অঞ্জলি তিনবার মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে নিতে হয় ।কিন্তু আমাদের সর্টকাট ব্রাহ্মণরা একবারে শেষ করে কি বিশাল জয় করে ফেলেছে।এত টাকা খরচ করে যে পূজা করছেন এই জিনিসটি কি এইবার লক্ষ্য রাখবেন না!শর্টকাট ব্রাহ্মণ ছেড়ে সঠিক ধার্মিক ব্রাহ্মণ নিয়ে আসুন অন্তত পূজার অঞ্জলিটুকু যেন আমরা সঠিকভাবে নিতে পারি।
সবশেষে
"এলোরে পুজো,অনেক খুশি অনেক আলো। পুজোর দিনগুলো সবার কাটুক ভালো।"

সাথে থাকুন
 Facebook 
 youtube  
instagram 
 twitter