দুঃখ চাপা হাসি

দুঃখ চাপা হাসি


দুঃখ চাপা হাসি

আব্বা-আব্বা আমাগো কাঠাল বাগানতে ইয়া বড় এক্কান কাঠাল ধইরচ্ছে!এইবার ও এডি বেঁইচ্চা দিবা!
হরে বাপ বড় বাবু বইল্লা রাখছে,এডি বেঁইচ্চা বেশ টাকা পামু।তোরে নতুন শার্ট-প্যান্ট লগে এক জোড়া নোয়া জুতা ও কিনি দিমু।খুশিতো?
হ আব্বা। এইবার মুই ও বন্ধুগো লগে বেরামু।
২০১২ সালের প্রথম দিকে আমি খুলনা গিয়েছিলাম সেনাবাহিনীতে একটি পরীক্ষা দেয়ার জন্য। সে বছরই প্রথম আমার পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের প্রয়োজন পরেছিল। আর তার তিক্ত অভিজ্ঞতা আমি সেদিনই অনুভব করেছিলাম।
যখন আমি দেখতে পেলাম একটি মাত্র টয়লেট আর আশেপাশে অন্য কোন টয়লেট নেই, আমি দরজার বাইরে অপেক্ষা করতে লাগলাম ভেতরে যিনি আছেন তার বাইরে আসার। অনেক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও যখন দেখতে পেলাম কেউ বাইরে আসছে না, তখন আমি আমার ধৈর্য হারিয়ে দরজার কড়া নাড়তে শুরু করলাম।
ভেতর থেকে শব্দ আসলো
- কে?
আমি উত্তর দিলাম,
আপনার বের হতে আর কতক্ষণ সময় লাগবে?
উল্লেখ্য, আমি ভেতরে FM রেডিও চলার শব্দ পাচ্ছিলাম। তারপরে তার আর আমার মধ্যকার কথোপকথন:
- আমি বিরাট কোহলির অনেক বড় ভক্ত। তিনি যতক্ষণে না সেঞ্চুরি করছেন, আমি বের হবো না।
- তার সেঞ্চুরি করতে কত রান বাকি আছে?
- কেবল ৪ রান করেছেন, আর এখন মধ্যাহ্নভোজের বিরতি চলছে।
আমি জানি না, সেদিন বিরাট কোহলি শত রান করতে পেরেছিলেন কি না। তবে জীবনে প্রথম পাবলিক টয়লেটে গিয়ে যে বিড়ম্বনার শিকার আমি হয়েছিলাম, তা কোনদিনও ভুলতে পারবো না।